ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম হয় – ইউটিউবারদের টাকা আয়ের উৎস কি কি?

Please share this post
Rate this post

ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম হয় – ইউটিউবারদের টাকা আয়ের উৎস কি কি? : ইউটিউব এমন একটি যোগাযোগ মাধ্যম যেখানে আপনি কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব এ কিভাবে টাকা ইনকাম হয়, কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয় এবং একজন ইউটিউবার এর আয়ের উৎস গুলো কি কি তা আজকে আলোচনা করবো।

ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এটা আমরা অনেকেই জানি না। ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলে সেখানে নিয়মিত ভালো কোয়ালিটি ভিডিও আপলোড করতে হয়। তারপর 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং 1000 সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ হলে ইউটিউব এর কাছে মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে হয়। ইউটিউব আপনার চ্যানেলটিকে পরবর্তীতে চেক করে দেখবে। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে সেই চ্যানেলে মনিটাইজেশন অন করে দেয়। তারপর সেই চ্যানেল থেকে ইনকাম শুরু হয় ইনকাম হয়।

ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম হয়

ইউটিউব মনিটাইজেশন অন হয়ে গেলে সেই চ্যানেলের ভিডিও গুলোতে Ads শো করায় ইউটিউব। সেই এড গুলো থেকে একজন ইউটিউবার এর ইনকাম হয়। বিভিন্ন অ্যাডভার্টাইজ কোম্পানি ইউটিউবকে টাকা দেন তাদের অ্যাড গুলো ইউটিউব ভিডিওতে দেখানোর জন্য। আর সেই টাকাটা ইউটিউব ৪৫% নেন এবং ইউটিউবারদের ৫৫% দেন। তাই একজন ইউটিউবার এর ভিডিওতে যত বেশি অ্যাড শো করবে তার ইনকাম তত বেশি হবে। যদি কোন ইউটিউবারের ভিডিওতে এড শো না করে তাহলে তার ইনকাম হবে না।

ইউটিউবের টাকা কিভাবে হাতে আসে

একজন ইউটিউবার এর টাকা হাতে পায় মূলত ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে। একজন ইউটিউবার ইউটিউব চ্যানেলে একটি অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন। সেই ব্যাংক একাউন্টে প্রতিমাসে ২২/২৩ তারিখে গুগল এডসেন্স টাকা ট্রান্সফার করে দেয়।

ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের এর উৎস

ইউটিউব থেকে অনেক মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। যেমন-

  • YouTube partner program
  • YouTube short bonus
  • Affiliate program
  • Merchandise
  • Sponsorship/promotion

ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম

ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম উপরে আলোচনা করেছি। ইউটিউব নিজে এড শো করানো জন্য কারণে ক্রিয়েটরদের টাকা দিয়ে থাকে। এছাড়া যারা ভিডিও দেখেন তারাও ইউটিউবারদের কে খুশি হয়ে টাকা দিতে পারেন। এর জন্য রয়েছে channel membership, Thanks, Super chat & super stickers ইত্যাদি।

ইউটিউব সর্ট বোনাস

ইউটিউবে শর্ট ভিডিও তৈরি করেও ইনকাম করা যায়। এক্ষেত্রে সেই চ্যানেলে মনিটাইজেশন অন করতে হবে না। অর্থাৎ 4000 ঘন্টা এবং 1000 সাবস্ক্রাইব পূরণ হওয়া লাগবে না। ইউটিউব সমস্ত ক্রিকেটারদেরকে 100 মিলিয়ন এর একটি বাজেট করেছেন শুধুমাত্র যারা শর্ট ভিডিও তৈরি করবে তাদের জন্য।

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম

ইউটিউবে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্যের কোন প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস নির্দিষ্ট কিছু কমিশনের বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া। আপনি ভিডিও ডেসক্রিপশনে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্টের লিংক দিয়ে দিবেন। তাহলে সেখানে ক্লিক করে কেউ যদি কোন প্রোডাক্ট কেনে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন। অ্যাফিলিয়েট বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে যেমন- daraj, BD Shop, Amazon, Flipkart ইত্যাদি।

মার্চেন্ডাইজ

মার্চেন্ডাইজ হলো আপনার চ্যানেল যখন বড় হয়ে যাবে তখন আপনি একটি অনলাইনে স্টোর বা ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। সেখানে আপনি বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতে পারেন। যেমন টি-শার্ট, জামা কাপড় ইত্যাদি। আর আপনি আপনার সেই স্টোর বা ওয়েবসাইটটিকে আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে প্রমোট করাতে পারেন। আপনার সাবসক্রাইবারকে বলবেন আপনার সেই সাইটে গিয়ে যেন জিনিসগুলো ক্রয় করে। তাহলে আপনি দুদিক থেকেই লাভবান হচ্ছেন। আর এভাবেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

স্পনসর্শিপ/ প্রমোশন

যখন আপনার চ্যানেল ধীরে ধীরে বড় হবে তখন অনেক বড় বড় কোম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের ওয়েবসাইট কিংবা সার্ভিস প্রমোশন করার জন্য‌। আপনি শুধু আপনার ভিডিওতে তাদের অ্যাপস বা ওয়েবসাইট কিংবা সার্ভিস এর কথা বলবেন তাহলে আপনাকে তারা নির্দিষ্ট কিছু অর্থ প্রদান করবে। এটাকেই বলে স্পনসর্শিপ।

আরও পড়ুনঃ

স্টিকারের মাধ্যমে চ্যাটিং করুন

Please share this post

This is MOJNU Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

Leave a Comment

close