হাদিসের বাণী, কুরআনের ইসলামিক বাণীঃ আসসালামু আলাইকুম, একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত কোরআন হাদিসের বাণী অনুসরণ করে আমাদের জীবনকে সাজানো। যদি আমরা পরিপূর্ণভাবে কুরআন ও হাদিসের বাণী আমাদের জীবনে প্রয়োগ করতে পারি তবে আমাদের জীবন নিঃসন্দেহে সুখীময় ও পবিত্র জীবন গড়ে উঠবে।
এই পোস্টে আপনাদের জন্য আমরা ইসলামিক উপদেশ মূলক বাণী নিয়ে হাজির হয়েছি। এগুলো যথাযথভাবে মেনে চললে আপনি একজন পাক্কা মুমিন ও মুসলমান হতে পারবেন। ইসলামিক কিছু বানী নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল।
কোরআন হাদিসের বাণী পৃথিবীর সকল বাণীর চেয়ে শ্রেষ্ঠতম। কোরআনের কোন আয়তকেই আজ পর্যন্ত কেউই ভুল প্রমাণ করতে পারেনি। আল কুরআন নিজেই চ্যালেঞ্জ করেছে কোন একটি আয়াতকে অনুরূপ করে দেখানোর। তবে আজ পর্যন্ত তা কেউ করতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবেনা। আমাদের উচিত কুরআন ও হাদিসকে যথার্থ সম্মান ও শ্রদ্ধা করার পাশাপাশি তা মেনে চলা।
কোরআন হাদিসের বাণী
মানুষ মরণ থেকে বাঁচতে চেষ্টা করে তবে জাহান্নাম থেকে নয়। অথচ মানুষ চেষ্টা করলে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারে মরণ থেকে নয়।
দিনের আলোতে এমন কাজ করো না যাতে রাতের ঘুম নষ্ট হয়। আর রাতের অন্ধকারে এমন কাজ কোরো না যাতে তোমায় দিনের আলোতে মুখ লুকিয়ে রাখতে হয়।
-হযরত ওমর (রাঃ)
তুমি পানির মতো হওয়ার চেষ্টা করো, যে কিনা নিজের চলার পথ নিজেই তৈরি করে নেয়। পাথরের মতো হয়ো না যে নিজে অন্যের চলার পথ রোধ করে।
-হযরত ওমর (রাঃ)
তোমরা মিথ্যা বলো না, কারণ মিথ্যা নিয়ে যায় পাপের দিকে হার পাপ নিয়ে যায় জাহান্নামের দিকে। -হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে কাঁদে তার জন্য জাহান্নামে যাওয়া অনুরূপ অসম্ভব, যেমনটা গাভীর বাট থেকে দুধ বের হওয়ার পর পুনরায় ঢোকানো অসম্ভব। -আল হাদিস।
লোহা যখন গরম হয় তখন তা তরল হয়ে যায়। সুতরাং রেগে না গিয়ে স্থির থাকুন। ধৈর্য একটা তিক্ত গাছের নাম, কিন্তু এর ফল সবচেয়ে সুস্বাদু হয়।
- প্রশংসা করুন = প্রশংসিত হবেন।
- সম্মান করুন = সম্মানিত হবেন।
- সত্য কথা বলুন = আপনাকে কেউ মিথ্যা বলতে পারবে না।
- অন্যের দোষ ঢাকুন – নিজের দোষ গোপন থাকবে।
- ন্যায় পথে চলুন = কারো দ্বারা প্রতারিত হবেন না।
- ক্ষমা করতে শিখুন = হৃদয় জয় করতে পারবেন।
- ভালবাসতে শিখুন = ভালোবাসা পাবেন।
- জীবনে বড় হও = তবে, কাউকে ছোট করে না।
- জীবনে হেসো = তবে কাউকে কাঁদিয়ে নয়।
- জীবনে জয় করো = তবে কাউকে ঠকিয়ে নয়।
- জীবনে সুখী হও = তবে, কাউকে কষ্ট দিয়ে না।
- জীবনে ধন-সম্পদ অর্জন করো = তবে কারোও ধন-সম্পদ চুরি করে নয়।
বিবাদ সৃষ্টিকারী ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি ঘৃণিত। ওই ব্যক্তি বেহেস্তে প্রবেশ করতে পারবে না যার হাত ও মুখ থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়।
ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব বিচারের দিনে একে অন্যের শত্রু হয়ে দাঁড়াবে, শুধুমাত্র ধার্মিক বন্ধুরা ছাড়া।
কবিরা গুনাহ হইলঃ
- আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা
- পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
- অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যা করা
- এবং মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া
আল্লাহ কোন জাতির অবস্থান পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তাদের নিজেদের মধ্যে যা আছে তার পরিবর্তন করে। (-আল কুরআন, সূরা রা’আদ, আয়াত ১১)
রাসূল সাঃ সেই পুরুষের উপর অভিশাপ করেছেন যে নারীদের পোশাক পরিধান করে। এবং সেই নারীর উপর অভিশাপ করেছেন যে পুরুষের পোশাক প্রদান করে।
যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর উপর প্রবল বিশ্বাস রাখেন আল্লাহ তায়ালা তার ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেন না। -হযরত আলী (রাঃ)
জীবন সাজাও নামাজ দিয়ে, মন সোজা ও ঈমান দিয়ে, শরীর সাধারণ নবীর সুন্নত দিয়ে, আর বন্ধু বানাও ইসলামের দাওয়াত দিয়ে।
কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করিও না। কারণ মৃত্যুর আগে ক্ষমা চাওয়ার জন্য হয়তো তাকে আর খুঁজে পাবে না।
মহান আল্লাহ বলেন, তোমাদের পিতা-মাতার সাথে সদ ব্যবহার করো! তাদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলো না।
আমদের জীবনের শেষ মেকাপটা সুরমা আর আতর দিয়েই হবে। সুতরাং রূপচর্চা ছেড়ে আমল চর্চা করুন।
যার অভাব আসে সে যদি মানুষের কাছে জানায় তাহলে তার অভাব দূর হয় না। কিন্তু যার অভাব আছে সে যদি আল্লাহর কাছে জানায় তাহলে তিনি বিলম্বে অথবা অবিলম্বে তার অভাব দূর করে দেন। (তিরমিজি ২৩২৬)
আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তার চেয়ে অবশ্যই তোমাকে উত্তম কিছু দান করবেন। -হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম।
ওই কপাল কখনো খারাপ হতে পারে না যে কপালে আল্লাহকে সেজদাহ করে।
যে ব্যক্তি মানুষকে দয়া করেনা, আল্লাহ তাআলা তার উপর রহমত বর্ষণ করেন না।
আল্লাহর কাছে প্রিয় সেই ব্যক্তি যে বিপদে পরলে ধৈর্য ধারণ করে, আর কোন কিছু লাভ করলে শুকরিয়া আদায় করে। -মুতাররীফ ইবনে আব্দুল্লাহ
পাপ থেকে একমাত্র তারাই বাঁচতে পারে, যারা মুখে নয় অন্তর থেকে আল্লাহ তাআলার শাস্তি কে ভয় করে।
আল্লাহর উপর ভরসা রেখে নিজের কাজ নিজে করে যান। আল্লাহই আপনার পথের সবকটা সরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, যখন তোমাকে সৎ কাজ আনন্দ দিবে এবং অসৎ কাজ পীড়া দিবে তখন তুমি মমিন। (আহমদ ২১৬৬২)
উপসংহার
আশা করছি আপনারা এই পোস্ট থেকে কোরআন হাদিসের বাণী তথা ইসলামিক বাণী জানতে পেরেছেন। এই পোস্টটি আপনার প্রিয় ভাই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন যেন তারাও হাদিসের বাণী ও ইসলামিক বাণী সম্পর্কে জানতে পারে এবং হেদায়েতপ্রাপ্ত হতে পারে। হাদিসের বাণী নিয়ে নিচে কমেন্ট বক্সে আপনার কোন মতামত থাকলে তা জানাতে পারেন।
অন্য পোস্ট পড়ুন-
ফেসবুকে ইসলামিক স্ট্যাটাস বাংলা
ইসলামিক স্ট্যাটাস পিকচার ডাউনলোড