মহানবীর বাণী ইসলামিক উক্তিঃ আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর আদর্শ ও বাণী আমাদের জীবনকে সুখময় ও আলোকিত করে। তেমনি এই পোস্টে আপনারা সেরা দশটি মহানবীর বাণী ও ইসলামী উক্তি নিয়ে আমাদের আজকের পোস্ট।
বিশ্ব বিখ্যাত শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপদেশ তথা বাণী গুলো আপনার অন্তরের ধারণ করলে আপনার জীবন পরিবর্তন হতে বাধ্য। আল কোরআনে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন “আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছি”! (সূরা আম্বিয়া; আয়াত-১০৭)। সুতরাং মহানবী (সাঃ) জীবনী সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই।
মহানবীর বাণী ইসলামিক উক্তি
আপনাদের জন্য আমরা পিকচারসহ মহানবীর বাণী ও ইসলামিক উক্তি পোস্ট সাজিয়েছি। আপনারা চাইলে পিকচার গুলি ডাউনলোড করে নিতে পারেন এবং মহানবীর বাণী গুলো কপি করে নোটবুক এ নিতে পারেন।
১. রাত্রে ঘন্টাখানেক জ্ঞান চর্চা করা সারারাত জেগে ইবাদত বন্দেগী করার চেয়ে উত্তম। (বুখারী)
২. সে ব্যক্তি মুমিন নয়, যে নিজে পেট পুরে খায় অথচ পাশেই তার প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে। (বায়হাকি)
৩. প্রতিটি সোনা কথা (যাচাই না করে) বলে বেড়ানোই মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। (সহীহ মুসলিম)
৪. কোন গীবতকারী/ নিন্দুক জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (বুখারী)
৫. তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। (তিরমিজি ৩৮৯৫)
৬. যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করে না। (সহীহ বুখারি)
৭. তোমাদের মধ্যে ততক্ষণ কেউ ঈমানদার হতে পারবেনা, যতক্ষণ না সে নিজের জন্য যা পছন্দ করে, তার ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করে। (সহীহ বুখারী)
৮. সে ব্যক্তি শক্তিশালী নয় যে কুস্তিতে শত্রুকে পরাজিত করে, বরং সে বেশি শক্তিশালী যে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৯. যার অন্তরে সরিষা পরিমাণ অহংকার রয়েছে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। (মুসলিম)
১০. আয়না যেমন ময়লা দূর করতে এবং সাজ সৌন্দর্য গ্রহণ করতে সাহায্য করে তেমনি একজন মুমিনের কর্তব্য তার মুমিন ভাইয়ের দোষ ত্রুটি দূর ও সুন্দর গুনাবলী অর্জন করার কাজে সাহায্য করা।
অন্য পোস্ট পড়ুন-
সেরা ৫০টি কোরআন হাদিসের বাণী, ইসলামিক বাণী ও উপদেশ
মহানবীর উপদেশ (ছবিসহ)
আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না, যদিও তোমাকে হত্যা করা হয় অথবা আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
সাবধান! আল্লাহর নাফরমানি ও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকো। কেননা নাফরমানি দ্বারা আল্লাহর ক্রোধ অবধারিত হয়ে যায়।
পিতা-মাতার অবাধ্য হবে না, যদি মাতা পিতা তোমাকে তোমার পরিবার পরিজন বা ধন-সম্পদ ছেড়ে দেওয়ার হুকুমও দেয়।
যখন মানুষের মধ্যে মহামারী ছড়িয়ে পড়ে আর তুমি সেখানেই রয়েছো, তখন সেখানেই তুমি অবস্থান করবে। (পলায়নপর হবে না।)
জিহাদ থেকে কখনো পালিয়ে যাবে না, যদিও সব লোক মারা যায়।
পরিবারের লোকেদের আদব-কায়দা শিখার জন্য কখনো শাসন হতে বিরত থাকবেনা।
যে ব্যক্তির চরিত্রে কৃপণতা, ভীরুতা ও হীন মানসিকতা রয়েছে সে খুবই নিকৃষ্ট।
যদি সবচেয়ে বড় আলেম বা জ্ঞানী হতে চাও তবে তাকওয়া (আল্লাহ ভীতি) অর্জন করো।
যদি পরিপূর্ণ ঈমানওয়ালা হতে চাও, তবে উত্তম চরিত্র অর্জন করো।
যদি আল্লাহর নিকট বিশেষ সম্মান পেতে চাও, তবে অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকির কর।
যদি সবচেয়ে বেশি সম্মান পেতে চাও, তবে মানুষের নিকট হাত পাতা বন্ধ করে দাও।
যদি সমস্ত দোয়া কবুল হওয়ার আশা রাখো, তবে অবশ্যই হারাম থেকে বেঁচে থাকো।
যদি আল্লাহ তাআলার রাগ বা গোসসা থেকে বাঁচতে চাও, তবে গোপনে সদগা করো, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে চলো এবং মানুষের উপর রাগ করা ছেড়ে দাও।
যদি কিয়ামতের দিন আল্লাহর নূর নিয়ে উঠতে চাও, তবে মানুষের উপর জবর জুলুম করা ছেড়ে দাও।
আমাদের উচিত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর উপদেশ ও বাণী গুলো মেনে চলা। মহানবীর আদর্শই আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য। তার বাণী উপদেশ আমাদের ইহকাল এবং পরকাল জীবনকে আলোকিত করবে।
আমাদের জীবনকে সুন্দর এবং শান্তিময় সুখময় করতে হলে আমাদের প্রিয় মহানবীর বাণী অনুসরণ করতেই হবে। এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করবেন এতে করে আমাদের প্রিয় মহানবীর বাণী তাদের কাছে পৌঁছাবে।