মাসে লাখ টাকা আয় – টাকা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীকয়, এবং টাকা উপার্জনের অনেক উপায় রয়েছে কিন্তু আপনি যদি অনলাইনে টাকা আয় করতে চান তবে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোস্ট এ আমরা ঘরে বসে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানবো।
বর্তমানে ইন্টারনেট প্রায় প্রতিটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। তাই বর্তমান সময়ে সবাই টাকা উপার্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম খুঁজতে থাকে। যার টাকা আছে সে তার চাহিদা খুব সহজেই পূরণ করতে পারে।
অতএব, আমরা এই নিবন্ধটি এমন লোকদের জন্য লিখেছি যারা ঘরে বসে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাই আসুন অনলাইনে মাসে লাখ টাকা আয় করার 10 টি উপায় সম্পর্কে জানি।
অন্য পোস্ট – কিভাবে ঘরে বসে অল্প সময়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায়
মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় ১০টি
এই নিবন্ধে, অনলাইনে মাসে লাখ টাকা উপার্জনের 10 টি উপায় সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যার মাধ্যমে আপনি সহজেই টাকা আয় করতে পারেন। তবে এর জন্য আপনার একটি স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ লাগবে, তবেই আপনি ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
1: ব্লগিং
আপনি যদি লিখতে আগ্রহী হন এবং একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখেন, তাহলে ব্লগিং আপনার জন্য খুব উপকারী হতে পারে।
ব্লগিং করতে হলে আপনার লেখার শিল্প থাকতে হবে। এর সাথে সাথে যেকোন বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার আগ্রহ থাকতে হবে এবং আপনার একটু ধৈর্যও থাকতে হবে।
আপনার যদি এই তিনটি জিনিস থাকে তবে আপনি ব্লগিং এর ক্ষেত্রে সফল হতে পারেন বলে রাখি যে ব্লগিং মানে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং এতে মানুষের জন্য দরকারী বিষয় লেখা এবং আপনার ওয়েবসাইটে যখন অনেক ভিজিটর আসতে শুরু করে।
আপনাকে “ গুগল অ্যাডসেন্স ” এর জন্য আবেদন করতে হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে Adsense Approval হয়ে গেলে ধীরে ধীরে আপনি অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনে ক্লিকের কারণে আয় করা শুরু করবেন। আপনি এতে আয়ের অনুমান করতে পারেন যে এমন অনেক লোক রয়েছে যারা প্রতি মাসে 2 লাখ টাকার বেশি আয় করছেন।
2: YouTube
আপনি YouTube এ ভিডিও আপলোড করেও টাকা আয় অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি আপনার স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সাহায্যে ঘরে বসে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন।
এর জন্য, আপনাকে একটি আকর্ষণীয় বিষয়ের উপর একটি ভিডিও তৈরি করতে হবে এবং আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ইউটিউবে আপলোড করতে হবে এবং যদি আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি অ্যাডসেন্সের সাথে সংযুক্ত থাকে তবে আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিওতে যত বেশি ভিউ পাবেন আপনি তত ভাল আয় পাবেন।
এমন অনেক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেগুলি ইউটিউবের মাধ্যমে প্রতি মাসে ভিডিও আপলোড করে প্রতি মাসে 1 লক্ষ টাকা আয় করতে পারে।
3: অনলাইন শিক্ষা
আপনার যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনি আপনার জ্ঞান শেয়ার করে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারেন। হ্যা, তুমি ঠিক শুনেছো।
বর্তমানে অনলাইনে শিক্ষাদানের প্রবণতাও অনেক বেড়ে গেছে। আপনি Udemy এবং Ten Minute School-এর মতো ওয়েবসাইটে অনলাইনে শিক্ষাদানের জন্য নিজেকে নিবন্ধন করতে পারেন এবং যদি আপনার অ্যাকাউন্ট অনুমোদিত হয়, তাহলে আপনি অনলাইনে শিক্ষাদান করে ভাল পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারেন।
4: অ্যাডমব
অ্যাডমবের সাহায্যে টাকা উপার্জন করতে, প্রথমে আপনাকে আপনার নিজের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে হবে এবং এর ভিতরে আপনাকে অ্যাডমবের সাহায্যে বিজ্ঞাপন দেখাতে হবে।
ইন্টারনেট এমন অনেক ওয়েবসাইট এবং টুল রয়েছে যেগুলি ব্যবহার করে আপনি বিনামূল্যে একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন এবং এটি গুগল প্লে স্টোর বা অন্য কোনো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন স্টোরে প্রকাশ করতে পারেন।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট না জানলে ইন্টারনেট ও ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন। নীচে আমরা আপনাকে বিনামূল্যে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার জন্য কিছু ওয়েবসাইটের নাম দিচ্ছি, যা আপনি অ্যাপ তৈরি করতে ব্যবহার করতে পারেন।
5: ফেসবুক
ইউটিউবের মতো, এখন আপনি ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল পরিষেবার সাহায্যে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারেন, এছাড়াও, আপনার যদি ফেসবুকে একটি বড় পেজ থাকে তবে আপনি এতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিঙ্কগুলি Share করেও টাকা আয় করতে পারেন।
6: সোশ্যাল মিডিয়া
আমাদের দেশে এমন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব এবং অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং কোম্পানি রয়েছে, যারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি নিজে চালানোর পরিবর্তে অন্য কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাকে দেয় এবং বিনিময়ে সেই ব্যক্তি বা সংস্থা ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে গ্রহণ করে একটি ভাল পরিমাণ টাকা।
সেজন্য আপনাকে এই ধরনের ব্যক্তি বা কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি পরিচালনা করতে হবে, যার বিনিময়ে আপনি ভাল পরিমাণ টাকা আয় করবেন।
7: মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন
এছাড়াও আপনি অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্য নিতে পারেন। এমনকি আপনাকে এতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে না।
আপনাকে যা করতে হবে তা হল একটি রেফারেল লিঙ্কের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির স্মার্টফোনে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা এবং সেই ব্যক্তি যখন আপনার রেফারেল লিঙ্কের মাধ্যমে তার স্মার্টফোনে কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে তখন আপনি একটি ভাল পরিমাণ টাকা পাবেন৷ আপনি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে অর্থ উপার্জন করতে নিম্নলিখিত অ্যাপ্লিকেশনে কাজ করতে পারেন।
- MathChamp
- Hamster
- TapSwap
8: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার জন্য আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংও করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এ, আপনাকে Amazon, ShopClues, Flipkart, Snapdeal, Jabong, Myntra-এর মতো অন্যান্য শপিং ওয়েবসাইটগুলিতে যেতে হবে এবং আপনার অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং তারপরে সোশ্যাল মিডিয়াতে সেখানে যে কোনও পণ্যের রেফারেল লিঙ্ক শেয়ার করতে হবে।
এবং যখন কেউ আপনার রেফারেল লিঙ্কে ক্লিক করে যেকোন ওয়েবসাইট থেকে একটি পণ্য কেনে, আপনি সেই পণ্যের মূল্যের 10 শতাংশ পর্যন্ত কমিশন পাবেন। পণ্যের দাম যত বেশি হবে আপনার কমিশন তত বেশি হবে। এ থেকে অনেকেই ভালো আয় করছেন।
10: কন্টেন্ট রাইটার
আপনি যদি লেখার শৌখিন হন, তবে আপনি অন্যান্য ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট লিখেও ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন, কারণ ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যার লেখকদের তাদের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট লেখার সময় নেই।
এবং এমন পরিস্থিতিতে, তারা কন্টেন্ট লেখার জন্য একজন কন্টেন্ট রাইটার নিয়োগ করে এবং বিনিময়ে তারা তাদের একটি ভালো পরিমাণ অর্থ দেয়, সাধারণত 1000 শব্দের বাংলা কন্টেন্ট লেখার জন্য, কনটেন্ট রাইটারকে 100-300 টাকা দেওয়া হয়। আপনি ফেসবুকে কন্টেন্ট রাইটিং জবস গ্রুপে আপনার পোস্ট করতে পারেন।
উপসংহার
বন্ধুরা, এই পোস্টটি পড়ার পর, আপনি ইন্টারনেট থেকে অনলাইনে টাকা আয় করার 10টি উপায় জেনেছেন। টাকা ইনকাম করা একটু কঠিন কাজ। এজন্য একটু ধর্য্য ও সময় দিয়ে লেগে থাকতে হবে। মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কিত এই পোস্টটি ভাল লাগে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
