ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় কী এবং কীভাবে নিজের ঠোঁটকে সতেজ ও ভালো রাখবেন আজকের পোস্টে আপনারা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এছাড়াও আজকের পোস্টে ঠোঁটের মরা চামড়া সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা,স্বাস্থ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পড়ুন। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে।
অন্য পোস্ট- প্রাকৃতিক উপায়ে মুখ উজ্জ্বল করার উপায় ?
ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়
ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করা একটি সাধারণ সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। নিচে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো।
শুষ্কতা: ঠোঁট প্রাকৃতিকভাবেই শুষ্ক হয়ে থাকে। এছাড়াও, শীতকালে বাতাস শুষ্ক হয়ে গেলে ঠোঁট আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
হরমোনের পরিবর্তন: গর্ভবতী মহিলাদের এবং ঋতুচক্রের সময় মহিলাদের ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
চর্মরোগ: কিছু চর্মরোগ, যেমন একজিমা এবং সোরিয়াসিস, ঠোঁটকে শুষ্ক করে তুলতে পারে।
অতিরিক্ত ঠোঁট কামড়ানো: অনেকেই অভ্যাসগতভাবে ঠোঁট কামড়েন। এটি ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করতে পারে।
ঠোঁট ফাটা দূর করার সহজ উপায়
ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার জন্য কিছু সহজ উপায় রয়েছে। এগুলি হল:
নিয়মিত ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করুন: ঠোঁটকে আর্দ্র রাখতে নিয়মিত ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করুন। বিশেষ করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করা গুরুত্বপূর্ণ।
ঠোঁট scrub করুন: ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করতে সপ্তাহে একবার ঠোঁট scrub করুন। ঠোঁট scrub করার জন্য আপনি বাজারে পাওয়া ঠোঁট scrub ব্যবহার করতে পারেন অথবা ঘরে তৈরি ঠোঁট scrub ব্যবহার করতে পারেন। ঘরে তৈরি ঠোঁট scrub তৈরি করতে আপনি মধু, চিনি, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
ঠোঁট ঘষবেননা: ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার জন্য ঠোঁটকে ঘষে তুলবেননা। এতে ঠোঁট আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন: ঠোঁটকে আর্দ্র রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস জল পান করুন।
ধূমপান ছেড়ে দিন: ধূমপান ঠোঁটকে শুষ্ক করে তুলতে পারে। তাই ধূমপান ছেড়ে দিলে ঠোঁটকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে।
যদি আপনি উপরের উপায়গুলি চেষ্টা করেও ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করতে না পারেন, তাহলে আপনি একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
ঠোঁট সুস্থ রাখতে জেল ব্যবহার করুন
ঠোঁট সুস্থ রাখতে জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। জেল ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ঠোঁটকে নরম রাখতে সাহায্য করে। ঠোঁট সুস্থ রাখতে জেল ব্যবহার করার কিছু টিপস এখানে দেওয়া হল:
নিয়মিত জেল ব্যবহার করুন। ঠোঁটকে আর্দ্র রাখতে দিনে কয়েকবার জেল ব্যবহার করুন। বিশেষ করে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে জেল ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
শুষ্ক আবহাওয়ায় জেল ব্যবহার করুন। শুষ্ক আবহাওয়ায় ঠোঁট আরও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই শুষ্ক আবহাওয়ায় নিয়মিত জেল ব্যবহার করুন।
উচ্চ মানের জেল ব্যবহার করুন। ঠোঁট সুস্থ রাখতে উচ্চ মানের জেল ব্যবহার করুন। উচ্চ মানের জেলে ঠোঁটের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে।
মৌসুমি জেল ব্যবহার করুন। বিভিন্ন মৌসুমে ঠোঁটের চাহিদা আলাদা হয়। তাই বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের জেল ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, শীতকালে ময়েশ্চারাইজিং জেল ব্যবহার করুন এবং গ্রীষ্মকালে হালকা জেল ব্যবহার করুন।
ঠোঁট সুস্থ রাখতে জেল ব্যবহার করার পাশাপাশি, ঠোঁটকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্যও কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। যেমন:
ঠোঁট কামড়ানো এড়িয়ে চলুন। ঠোঁট কামড়ানো ঠোঁটকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ঠোঁটকে সূর্য থেকে রক্ষা করুন। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ঠোঁটকে শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই ঠোঁটে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন। ধূমপান ঠোঁটকে শুষ্ক করে তোলে। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
ঠোঁট সুস্থ রাখতে জেল ব্যবহার করা একটি সহজ এবং কার্যকর উপায়। নিয়মিত জেল ব্যবহার করে আপনি আপনার ঠোঁটকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে পারেন।